প্রাচীন আরাকান রোয়াইঙ্গা হিন্দু ও বড়ুয়া বৌদ্ধ অধিবাসী আব্দুল হক চৌধুরী রচিত ইতিহাস গ্রন্থ।এখান থেকে বইটি পিডিএফ(PDF) আকারে পড়া ও ডাউনলোড(Download) করা যাবে।
আবদুল হক চৌধুরী ‘প্রাচীন আরাকান রোয়াইঙ্গা হিন্দু ও বড়ুয়া বৌদ্ধ অধিবাসী’ বইতে উল্লেখ করেন, খ্রিস্টীয় ১৩ শতক পর্যন্ত বর্তমান দক্ষিণ আরাকান ‘স্যান্ডুয়ে’ ও উত্তর আরাকান ‘আরাকান’ নামে পরিচিত ছিল।
বাঙ্গালীর ইতিহাস -নীহাররঞ্জন রায়
১২৮৩ খ্রিস্টাব্দে পঁগা রাজ্যের পতন হলে আরাকানরাজ মেংদী স্যান্ডুয়ে দখল করে আরাকান রাজ্যের বিস্তৃতি ঘটান। ১৪৬-১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তীকালে চট্টগ্রাম কখনো সম্পূর্ণ এবং কখনো আংশিকভাবে আরাকান রাজ্যভুক্ত ছিল।
খ্রিস্টপূর্ব ২৬৬৬ অব্দে আরাকান রাজ্য স্থাপন করার সময় থেকে ১৭৮৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা বোধপায়া কর্তৃক দখল হওয়ার আগ পর্যন্ত আটটি স্থানে রাজধানী করে বিভিন্ন রাজবংশ কখনো স্বাধীন কখনো করদরাজ্য হিসেবে আরাকান শাসন করে।
যশোহর খুলনার ইতিহাস (২খণ্ড) -সতীশচন্দ্র মিত্র
ধান্যবতীর চন্দ্র-সূর্য বংশের রাজত্বকালে এই সময় বৈশালীতেও চন্দ্রবংশের রাজারা শাসন করতেন।
কাজী আতাহার মুবারকপুরী তাঁর ‘আরব ওয়া হিন্দ আহদে রেসালাত’ গ্রন্থে লিখেছেন, ইসলামের আবির্ভাবের ৫০ বছরের (৬১০-৬৬০) মধ্যেই আরাকান এলাকায় আরব থেকে মুসলমানদের আগমন শুরু হয়।
এ সময় থেকেই মুসলমানরা আরাকান থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব চীনের ক্যান্টন বন্দর পর্যন্ত নৌবাণিজ্যবহর নিয়ে যাতায়াত করত। চীনের ক্যান্টনে ইসলামের নবীর একজন সাহাবির মাজার রয়েছে।
মুর্শিদাবাদের ইতিহাস -প্রতিভা রঞ্জন মৈত্র
আরাকান ও চীনের স্থলভাগে মুসলমানরা অনেক মসজিদ ও বাণিজ্যবন্দর স্থাপন করেছিল। চন্দ্র-সূর্যবংশের প্রথম রাজা মহত্ইঙ্গচন্দ্র ৭৮৮ খ্রিস্টাব্দে বৈশালীতে রাজধানী স্থাপন করেন এবং তাঁর শাসনামলের শুরুতেই ইসলাম প্রচারের ব্যাপক সুযোগ পেয়ে আরবের মুসলিম বণিকরা রাহাম্ব্রি বন্দরসহ নৌবন্দরগুলোতে ব্যাপকভাবে বাণিজ্য ও ইসলাম প্রচার মিশন পরিচালনা করেন।
এ অবস্থায় অষ্টম শতাব্দী থেকে আরাকান ও মেঘনা নদীর পূর্বতীরবর্তী বিস্তীর্ণ ভূভাগে আরবীয় বণিকদের কর্মতত্পরতা দেখা যায়।