আমরা কেউ বাসায় নেই উপন্যাস এর শুরুটা হয়েছে মধ্যবিত্ত পরিবারের টানাপোড়েন এর গল্প নিয়ে লেখা হুমায়ূন আহমেদ এর অসাধারণ উপন্যাস ‘রজনী’র আদলে।
এরপর মূল চরিত্র দুজন কখনও হয়ে পড়েছে সবাইকে হাস্যকর বানিয়ে দেয়া হিমু, কখনোবা ভয়ানক যুক্তিবাদী মিসির আলী। বয়স্ক/ বয়স্কা চরিত্রগুলো তো প্রায়ই হিমুর খালু কিংবা মাজেদা খালার প্রতিনিধিত্ব করছিলো।
কোথাও ‘রজনী’, কোথাও ‘দারুচিনি দ্বীপ’, কোথাও ‘হিমু’, কোথাও ‘বৃষ্টি বিলাস’ এই নিয়েই ৯৬ পৃষ্ঠার উপন্যাস ‘আমরা কেউ বাসায় নেই’ (৯৬ পৃষ্ঠার পুরোটাই তো আর উপন্যাস নয়!
একটা সাদা পাতা থাকবে পাঠকের নাম লেখার জন্য, একটা পাতায় ৫-৬ লাইনের ‘মুখবন্ধ’, একটা সাদা পাতা বইয়ের শেষে আর আরেকটা সাদা পাতা স্রেফ একটা সাদা পাতা থাকবার জন্যই!)
যে জলে আগুন জ্বলে -হেলাল হাফিজ
বিশ্বাস করতে একেবারেই ইচ্ছে হয়না, গল্পের জাদুকর এর ঝাঁপিতে টান পড়েছে। হয়ত হুমায়ূন একাই দায়ী ছিলেননা।
প্রকাশক ব্যবসাদাররা তো মৃতপ্রায় প্রকাশনা ব্যবসাকে চাঙ্গা করতে নাকমুখ খিঁচিয়ে কষে চাবুক মেরেই গেছেন তাঁদের রেসের কালো ঘোড়াকে; “আরো জোরে ছুটিস না ক্যান?” কালো ঘোড়া ছুটেছে অনেকই, তবে চাবুকের মার ছোট রেসগুলোই শুধু জিতিয়েছে। বড় কাপ গুলো অধরাই রয়ে গেলো
আমরা কেউ বাসায় নেই -হুমায়ূন আহমেদ