চেপে রাখা ইতিহাস(Chepe Rakha Itihas) আল্লামা গোলাম আহমাদ মোর্তজা রচিত গ্রন্থ।
লেখক শুরুতেই ঢিল ছুঁড়েছেন সেই খালে, যেখান থেকে ভেসে আসে “মুসলিমরা ভারতবর্ষে বিদেশী” স্তুতি মালা। লেখকের প্রশ্ন, মুসলিমরা বিদেশী হলে আর্যরা কী?
যদিও লেখক বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদ্ধৃতি দিয়ে এটা প্রমাণ করেছেন যে মুসলিমরা ক্ষমতায় ১৩শ শতকে আরোহন করলেও ভারতবর্ষে তাঁদের বসবাস ৮ম শতক থেকে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: খুলনা জেলা -ড. শেখ গাউস মিয়া
লেখক উদ্ধৃতি দিয়েছেন, ব্রাহ্মধর্মের নেতা আচার্য কেশব সেন, পরিব্রাজক ব্যারিস্টার চন্দ্রশেখর সেন, মানবেন্দ্র রায়, ড. তেজ বাহাদুর সাপ্রু, গুরু নানক, জওহরলাল নেহেরু, মাহাত্মা গান্ধী প্রমুখ ব্যক্তিবর্গ হতে।
বইটাতে ভারতবর্ষে মুসলিম জাতির মূল্যায়নও করেছেন ঐতিহাসিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই।
লেখক ভারতবাসীর সামনে উন্মুক্ত করেছেন মুসলিম বিশ্বের আশ্চর্য সব রত্নাবলী।
বাংলাদেশ : রক্তাক্ত অধ্যায় (১৯৭৫-৮১) – এম সাখাওয়াত হোসেন
চমকের কমতি নাই বইটাতে, যেমন একটা তথ্য, গান্ধীজি এবং মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একই বংশের।
লেখক একই সাথে তুলে এনেছেন হিন্দু ধর্মের কৌলিন্য প্রথার অন্ধকার দিকটাও, যেখানে দেখানো হয়েছে কীভাবে কন্যাদায়গ্রস্ত বাবাকে হেনস্থা করা হতো।
১ম অধ্যায় জুড়ে আছে ভারতবর্ষে তাঁদের মুসলিমদের গোড়ার ইতিহাস এবং তখন হিন্দু এবং ব্রাহ্মণদের সঙ্গে মুসলমানদের সম্পর্ক কেমন ছিলো তা নিয়ে।
সেই সময় -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
২য় অধ্যায় জুড়ে আছে আধুনিক ইতিহাসে আমরা যেসব মুসলিম আগন্তুকদের ডাকাত এবং লুটেরা হিসেবে জানি তাঁদের নিয়ে। যেমন, মুহাম্মদ বিন কাসিম, সুলতান মাহমুদ, মুহাম্মদ বিন তুঘলক ইত্যাদি
সবচেয়ে তথ্যবহুল এবং আলোচনা লব্ধ দুইটি বিষয় হল মুঘল সম্রাজ্য এবং ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে।
লেখক সমস্ত মুঘল সম্রাটদের আসলিয়াৎ বের করে এনেছেন এবং মহান আকবরের আসল বাস্তবতাও নিরূপণ করেছেন৷ এসব ছাড়াও আরও অনেক চাপা পড়া তথ্যের হদিস আছে বইটাতে৷
আমি জানিনা কেন ভারতবর্ষের ইতিহাসে মুসলমানদের ঠাঁই দেওয়া হয়নি।
জোছনা ও জননীর গল্প -হুমায়ূন আহমেদ
ঐতিহাসিকতার দিক থেকে মুসলিম চরিত্রের উপর যত কালিমা লেপন করা হয়েছে, লেখক তা অনেকাংশেই মুছে দিতে সক্ষম হয়েছেন৷
কিন্তু কেউ যদি দেখেও না দেখার ভান করে থাকে তো সেটা ভিন্ন কথা।
তবে মজার ব্যাপার হল লেখক এসব নিজে না লিখে হিন্দু এবং অমুসলিম ঐতিহাসিকদের উদ্ধৃতি দিয়েছেন, যাতে বইটি স্রেফ যে মুসলমানদের পক্ষে ওকালতি এই দোষে দুষ্ট না হয়।
বইটা পড়বার পরে একটু একটু বুঝে আসছে, বর্তমানে ভারতে যে উগ্র হিন্দুত্ববাদের আস্ফালন তার বীজ কবে আর কোথায় বপিত হয়েছিলো।
যত কান্ড কাঠমান্ডুতে -সত্যজিৎ রায়
আফসোসের সাথে বলতে হয় যে মারাঠা দস্যুদের অত্যাচারে বাংলার হিন্দু-মুসলিম তটস্থ ছিলো, যেই বর্গীদের বিরুদ্ধে নবাব অলিবর্দী এবং সিরাজুদ্দৌলা লড়াই করে গেছেন, সেই দস্যু শিবাজীকে ভারতে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেওয়া হয়, শুধুমাত্র মুসলিম বিদ্বেষী হবার কারণে।
অথচ, আরেক মারাঠা মহাবীর শম্ভূজীর মূল্যায়ন প্রায় নেই বললেই চলে, শম্ভূজিও মুঘলদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করেছিলেন বটে, কিন্তু একজন বীরের মতো লড়েছিলেন, শঠতা বা কপটতা দিয়ে কাজ হাসিল করতে চাননি কখনো।
বোসপুকুরে খুনখারাপি -সত্যজিৎ রায়
আরো অনেক বিষয়ই বইটাতে তুলে এনেছেন লেখক যেসব হয় চাপা দেওয়া অথবা বিকৃত করে আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিম, রবীন্দ্র, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, কিংবা রামমোহন, ঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালী বুদ্ধিজীবীদের আসল অবস্থান নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।