বাদশাহ নামদার উপন্যাসের কাহিনী মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের পুত্র নাসিরুদ্দিন মুহাম্মদ হুমায়ূন মীর্জাকে নিয়ে রচিত।
কাহিনী শুরু হয় ১৫২৭ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে। সম্রাট হুমায়ুন।ইতিহাসের এক বিচিত্র চরিত্র।স্ম্রাট হুমায়ূন রাজকর্মে অত মনোযোগী ছিলেন না।
তিনি ডুবে থাকতেন নিজের জগতে।নিজের পিতার উপহার পাওার পরও বিদ্রোহ করা। নিজের এক তৃতীয়াংশ বয়সী মেয়ে কে বিয়ে করা।
খামখেয়ালি পনা।বিচিত্র বিষয়ে আগ্রহ। ভাইদের বিদ্রোহ, মানুষকে বিশ্বাস করা এই সবি সম্রাট হুমাউন কে অন্যান্য দের থেকে আলাদা করে তুলেছে।কবি, চিত্রকর, শিল্পের সমঝদার, মূলত একজন মানুষের কাহিনিই বিধৃত বাদশাহ নামদার-এ।
কিন্তু লেখায় লেখকের নিজের প্রছন্ন ছায়া পড়েছে তার রচিত সম্রাট হুমায়ুন এর চরিত্রের উপর। অদ্ভুত সব বস্তু এর বর্ণনা রয়েছে।
যেমন হিন্দুস্তানের জাদুকর।মোঘল স্ম্রাট দের খাবার এর তালিকা, দোতলা তাবু ইত্যাদি। ছোট মেয়ে আকিকা বেগমের কথা ঘুরেফিরে এসেছে।
তার প্রতি সম্রাটের প্রগাড় ভালোবাসার নিদর্শন এটি। সেনাপতি বৈরাম খাঁ বিশেষ চরিত্র, যার বীরত্ব আর সাহসিকতা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে, সম্রাট হুমায়ূনের প্রতি তার অনুগত্য অ ভালোবাসা এর নিদ্রশ্ন ইতিহাসে আর দ্বিতীয় নেই।
এছাড়া আমরা পাবো বিশ্বাসঘাতক হরিসঙ্করকে, সিংহাসনলোভী হুমায়ূনের ভাই কামরান মীর্জাকে, হুমায়ূনের আরেক অনুগত আবতাবচি জওহরকে।এই জওহর আফতাবচি এই স্ম্রাট হুমাউন এর জীবন কাহিনি লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
শেষ জীবনে হুমায়ূন সব কিছুই বৈরাম খাঁ এর উপর ছেড়ে দিয়েছিলেন, যিনি পরবর্তীতে সম্রাটের মৃত্যুর পর আকবরের অভিভাবক হয়েছিলেন।
বৈরাম খাঁ জিনি আকবর কে গড়ে তুলেছিলেন আকবর দা গ্রেট করে। বইটি শেষও হয়েছে সম্রাটের ছোট পুত্র আকবরকে দিয়ে, যে ১৪ বছর বয়সেই দিল্লীর মসনদে বসেছিল। সম্রাট হুমায়ুন এর রচিত শের… অশ্ব অশ্বারোহীর বন্ধু নয় ।
যেমন বন্ধু নয় বায়ু, মেঘমালার । বন্ধু হবে এমন যাদের সঙ্গে কখনো দেখা হবে না । দু’জনেই থাকবে দু’জনের কাছে অদৃশ্য । দৃশ্যমান থাকবে তাঁদের ভালোবাসা ।