আমি আর ফেলুদা
সন্দ্বীপ রায়
সত্যজিত রায় “উট বনাম ট্রেন ” এবং “ফেলুদার সঙ্গে কাশীতে ” নামক ২টি প্রবন্ধ লিখেছিলেন সন্দেশ পত্রিকার জন্য , যেটা পরে আমরা পড়েছি “একেই বলে শুটিং” নামক গ্রন্থে। সেখানে ছিল “সোনার কেল্লা ” ও “জয় বাবা ফেলুনাথ” ছবির শুটিংয়ের নানা মজার ঘটনা।”আমি আর ফেলুদা “বইতে আমরা জানতে পারি সন্দীপ রায়ের ফেলুদাকে নিয়ে ছবি তৈরী করার নানান নেপথ্য ঘটনা বা কাহিনী।
সন্দীপ রায় ফেলুদাকে নিয়ে প্রথম ছবি বানিয়েছিলেন হিন্দিতে দূরদর্শনের ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক-এর সৌজন্যে ; ছবির নাম ছিল “Kissa Kathmandu Kaa (1986)” ছবিতে তিনি সৌমিত্রবাবুকে নিতে চাইলেও সর্ব-ভারতীয় দর্শকদের কথা ভেবে দূরদর্শনের পক্ষ থেকে হিন্দিভাষী কোনো নামী অভিনেতাকে নেবার অনুরোধ করা হয়। অভিনেতাদের মধ্যে একেবারে অটোমেটিক চয়েস ছিল “অমিতাভ বচ্চন”; যাকে সন্দীপ রায়েরও খুব পছন্দ ছিল। কিন্তু কি কারণে তাকে নেওয়া সম্ভব হয়নি আর কি ভাবে শশী কাপুর শেষমেষ ফেলুদা হলো তার কাহিনিই বলা হয়েছে এই বইয়ের প্রথম অংশের লেখা “কিসসা কাঠমান্ডু কা : হিন্দি ফেলু বাংলায় ফেল” এই শিরোনামে।
সে ছবি কেন সফল হয়নি তার বিশ্লেষণও করার হয়েছে এই অংশে।
এরপর সন্দীপ রায় ফেলুদার কিভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন ; সব্যসাচী চক্রবর্তী কে কিভাবে ফেলুদা হিসাবে নেওয়া হলো তার কাহিনী আমার জানতে পারি”বাক্স রহস্য – টাফ ফেলুর পয়লা টক্কর” এই অংশে। এই ভাগে সব্যসাচীর সাথে ফেলুদার শুটিংয়ের নানান অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে যা পাঠকদের পড়তে বেশ ভালো লাগবে। আর বেনুদা এই রোলটা করে কতটা খুশি হয়েছিলেন তার কাহিনিও বলেছেন লেখক এই লেখার শেষ ভাগে একটা সুন্দর ঘটনার মাধ্যমে।ফেলুদা তো বাছাই হলো কিন্তু জটায়ু কে হবেন ?এই জটায়ু খোজার কাজটা মোটেও সহজ ছিল না ; তা নিয়ে সন্দীপ রায়কে বেশ ভাবনা চিন্তা করতে হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিভাবে জটায়ু নির্বাচিত হলো এবং রবিঘোষ ; অনুপ রায় হয়ে বিভু ভট্টাচার্যের সাথে শুটিংয়ের নানা মজার ঘটনা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে এই অংশে। আর জটায়ুর কথা হবে আর তাতে সন্তোষ দত্ত থাকবেন না তাই কি হয় – এই অংশে রয়েছে “জয় বাবা ফেলুনাথ” ছবির শুটিংয়ের এমন এক রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা যা আগে কখনো কোথাউ শোনানো হয়নি। এই ঘটনাটা নিঃসন্দেহে এই বইয়ের “সেরা প্রাপ্তি”.
এর পরের অংশ হলো “মগনলাল মেঘরাজ” – ফেলুদার চিরশত্রু। আর এই চরিত্রটা বললে যে অভিনেতার মুখ আমাদের মনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন উৎপল দত্ত। উৎপল দত্ত ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ হিসাবে কেমন ছিলেন এবং অভিনেতা হিসাবে তার জীবনের নানান ঘটনার কথা আমরা জানতে পারি এই অংশে। এই অংশের শেষে আছে উৎপল দত্তকে নিয়ে একটা মজার ঘটনা।
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে ছবির শুটিংয়ের বিবিধ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে “একবগ্গা স্টান্ট-মাস্টার” এবং “ট্রেনের সঙ্গে ফের দৌড়” এই ২টি অংশে। ছবি করতে গিয়ে কতরকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত কিভাবে তা সফল ভাবে উতরে গেছে তাই বলেছেন সন্দীপ রায় এই ২টি লেখায়।
বইয়ের শেষ অংশের লেখাটি হলো “বাবা আর ফেলুদা “, এই অংশে সত্যজিত রায় ফেলুদা চরিত্রটিকে কিভাবে সৃষ্টি করেছিলেন সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো পূর্ব-পরিকল্পনা ছাড়া তিনি তৈরী করেছিলেন এই চরিত্রটিকে আর সেটি কিভাবে উঠলো “বাঙালির আইকন” তার কথাই বলা হয়েছে এই পরিচ্ছদে। ফেলুদা সমন্ধে অনেক না জানা কথা, তথ্য পাওয়া যাবে এই লেখাতে যা যেকোনো ফেলুদাপ্রেমীর কাছে চরম-প্রাপ্তি
সত্যজিত রায় “উট বনাম ট্রেন ” এবং “ফেলুদার সঙ্গে কাশীতে ” নামক ২টি প্রবন্ধ লিখেছিলেন সন্দেশ পত্রিকার জন্য , যেটা পরে আমরা পড়েছি “একেই বলে শুটিং” নামক গ্রন্থে। সেখানে ছিল “সোনার কেল্লা ” ও “জয় বাবা ফেলুনাথ” ছবির শুটিংয়ের নানা মজার ঘটনা।”আমি আর ফেলুদা “বইতে আমরা জানতে পারি সন্দীপ রায়ের ফেলুদাকে নিয়ে ছবি তৈরী করার নানান নেপথ্য ঘটনা বা কাহিনী।
সন্দীপ রায় ফেলুদাকে নিয়ে প্রথম ছবি বানিয়েছিলেন হিন্দিতে দূরদর্শনের ন্যাশনাল নেটওয়ার্ক-এর সৌজন্যে ; ছবির নাম ছিল “Kissa Kathmandu Kaa (1986)” ছবিতে তিনি সৌমিত্রবাবুকে নিতে চাইলেও সর্ব-ভারতীয় দর্শকদের কথা ভেবে দূরদর্শনের পক্ষ থেকে হিন্দিভাষী কোনো নামী অভিনেতাকে নেবার অনুরোধ করা হয়। অভিনেতাদের মধ্যে একেবারে অটোমেটিক চয়েস ছিল “অমিতাভ বচ্চন”; যাকে সন্দীপ রায়েরও খুব পছন্দ ছিল। কিন্তু কি কারণে তাকে নেওয়া সম্ভব হয়নি আর কি ভাবে শশী কাপুর শেষমেষ ফেলুদা হলো তার কাহিনিই বলা হয়েছে এই বইয়ের প্রথম অংশের লেখা “কিসসা কাঠমান্ডু কা : হিন্দি ফেলু বাংলায় ফেল” এই শিরোনামে।
সে ছবি কেন সফল হয়নি তার বিশ্লেষণও করার হয়েছে এই অংশে।
এরপর সন্দীপ রায় ফেলুদার কিভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটালেন ; সব্যসাচী চক্রবর্তী কে কিভাবে ফেলুদা হিসাবে নেওয়া হলো তার কাহিনী আমার জানতে পারি”বাক্স রহস্য – টাফ ফেলুর পয়লা টক্কর” এই অংশে। এই ভাগে সব্যসাচীর সাথে ফেলুদার শুটিংয়ের নানান অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে যা পাঠকদের পড়তে বেশ ভালো লাগবে। আর বেনুদা এই রোলটা করে কতটা খুশি হয়েছিলেন তার কাহিনিও বলেছেন লেখক এই লেখার শেষ ভাগে একটা সুন্দর ঘটনার মাধ্যমে।ফেলুদা তো বাছাই হলো কিন্তু জটায়ু কে হবেন ?এই জটায়ু খোজার কাজটা মোটেও সহজ ছিল না ; তা নিয়ে সন্দীপ রায়কে বেশ ভাবনা চিন্তা করতে হয়েছিল।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিভাবে জটায়ু নির্বাচিত হলো এবং রবিঘোষ ; অনুপ রায় হয়ে বিভু ভট্টাচার্যের সাথে শুটিংয়ের নানা মজার ঘটনা ও অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা হয়েছে এই অংশে। আর জটায়ুর কথা হবে আর তাতে সন্তোষ দত্ত থাকবেন না তাই কি হয় – এই অংশে রয়েছে “জয় বাবা ফেলুনাথ” ছবির শুটিংয়ের এমন এক রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা যা আগে কখনো কোথাউ শোনানো হয়নি। এই ঘটনাটা নিঃসন্দেহে এই বইয়ের “সেরা প্রাপ্তি”.
এর পরের অংশ হলো “মগনলাল মেঘরাজ” – ফেলুদার চিরশত্রু। আর এই চরিত্রটা বললে যে অভিনেতার মুখ আমাদের মনে ভেসে ওঠে তিনি হলেন উৎপল দত্ত। উৎপল দত্ত ব্যক্তিগত জীবনে মানুষ হিসাবে কেমন ছিলেন এবং অভিনেতা হিসাবে তার জীবনের নানান ঘটনার কথা আমরা জানতে পারি এই অংশে। এই অংশের শেষে আছে উৎপল দত্তকে নিয়ে একটা মজার ঘটনা।
বোম্বাইয়ের বোম্বেটে ছবির শুটিংয়ের বিবিধ অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করা হয়েছে “একবগ্গা স্টান্ট-মাস্টার” এবং “ট্রেনের সঙ্গে ফের দৌড়” এই ২টি অংশে। ছবি করতে গিয়ে কতরকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত কিভাবে তা সফল ভাবে উতরে গেছে তাই বলেছেন সন্দীপ রায় এই ২টি লেখায়।
বইয়ের শেষ অংশের লেখাটি হলো “বাবা আর ফেলুদা “, এই অংশে সত্যজিত রায় ফেলুদা চরিত্রটিকে কিভাবে সৃষ্টি করেছিলেন সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোনো পূর্ব-পরিকল্পনা ছাড়া তিনি তৈরী করেছিলেন এই চরিত্রটিকে আর সেটি কিভাবে উঠলো “বাঙালির আইকন” তার কথাই বলা হয়েছে এই পরিচ্ছদে। ফেলুদা সমন্ধে অনেক না জানা কথা, তথ্য পাওয়া যাবে এই লেখাতে যা যেকোনো ফেলুদাপ্রেমীর কাছে চরম-প্রাপ্তি