আকাশ জোড়া মেঘ(Akash Jora Megh) হুমায়ূন আহমেদ(Humayun Ahmed) এর লেখা উপন্যাস।এখান থেকে বইটি পিডিএফ(PDF) আকারে পড়া ও ডাউনলোড(Download) করা যাবে
হুমায়ুন আহমেদ তার বর্ণনায় পাঠক ধরে রাখতে জানেন। আমাদের সমাজে এমনটা প্রায়শই ঘটে, আমারা জীবন টিকাতে সন্তানদের দূরে ঠেলে দেই, দিতে হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সে তা কখনোই জানতে পারে না। অপলা জানতে পেরেছিল। সাদামাটা গল্প।
ছাপ্পান্ন মিনিট পার হল।
ফিরােজ বসে আছে। কারাে কোনাে খোঁজ নেই। ঘুমন্ত রাজপুরীর মতাে অবস্থা। কোনাে শব্দটও পাওয়া যাচ্ছে না, যা থেকে ধারণা করা যায় এ-বাড়িতে জীবিত লােকজন আছে।
সে যে এসেছে, এ-খবরটি ছাপ্পান্ন মিনিট আগে পাঠানাে হয়েছে। বেঁটেখাটো এক জন মহিলা বলে গেল—আফা আসতাছে। ব্যস, এই পর্যন্তই। ফিরােজ অবশ্যই আশা করে না যে, সে আসামাত্র চারদিকে ছােটাছুটি পড়ে যাবে।
বাড়ির কর্তা স্বয়ং নেমে আসবেন এবং এনাকে চা দিতে এত দেরি হচ্ছে কেন? বলে চেঁচামেচি শুরু করবেন। তবে এক ঘন্টা শুধুশুধু বসে থাকতে হবে, এটাও আশা করে না। সময় এখনাে এত সস্তা হয় নি।
দ্বিতীয় খুনের কাহিনি-মশিউল আলম
আপনি কি আমাকে ডাকছিলেন?
পর্দা ধরে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকিয়ে ফিরােজ মনে-মনে একটি দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলল।
চমৎকার মেয়েগুলি সব এমন-এমন জায়গায় থাকে যে, ইচ্ছা করলেই হুট করে এদের কাছে যাওয়া যায় না। দূর থেকে এদের দেখে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলতে হয় এবং মনে-মনে বলতে হয়—আহা, এরা কী সুখেই না আছে।
ফিরােজ উঠে দাঁড়াল। সালামের মতাে একটা ভঙ্গি করল। এটা করতে তার বেশ কষ্ট হল। উনিশ-কুড়ি বছরের একটি মেয়েকে এ-রকম সম্মানের সঙ্গে সালাম করার কোনাে মানে হয়।
ফিরােজ বলল, আমি আপনার বাবার কাছে এসেছি। ‘বাবা তাে দেশে নেই, আপনাকে কি এই কথা বলা হয় নি? হয়েছে।’ তাহলে? মেয়েটির চোখে-মুখে স্পষ্ট বিরক্তি। যেন কৈফিয়ত তলব করছে, কেন তাকে
আকাশ জোড়া মেঘ-হুমায়ূন আহমেদ