আরেক ফাল্গুন (Arek Falgun) জহির রায়হান(Zahir Raihan) এর অনবদ্য এক উপন্যাস।এখান থেকে বইটি পিডিএফ(PDF) আকারে পড়তে বা ডাউনলোড(Download) করতে পারবেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদ বুদ্ধিজীবীদের অন্যতম একটি নাম জহির রায়হান। তিনি শহীদ হয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকার মিরপুরে ১৯৭২ সালের জানুয়ারি মাসে।
লোকমুখে জেনেছিলেন, সেখানে তাঁর বড় ভাই শহীদুল্লা কায়সারসহ অনেক বুদ্ধিজীবীকে আটকে রেখেছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও অবাঙালি রাজাকার-আলবদররা।
সেখানে যাওয়ার পর জহির রায়হানকে আর কখনো কেউ কোথাও দেখেনি। অবরুদ্ধ মিরপুরকে মুক্ত করতে সেদিন তুমুল যুদ্ধ হয়েছিল, মিরপুর মুক্তও হয়েছিল। কিন্তু প্রাণ বিসর্জনও দিতে হয়েছিল অনেককে।
জহির রায়হানের অনুপস্থিতি নানা রকমের কল্পনার জন্ম দিয়েছিল। কেউ বলেছিলেন, তাঁকে পাকিস্তানে নিয়ে গেছে সেনাবাহিনী। কেউ-বা ভেবেছিলেন, তিনি বেঁচে আছেন অন্য কোথাও। হয়তো ফিরে আসবেন যেকোনো দিন।
এ নিয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধানী গবেষণা করে ছুটে বেড়িয়েছেন সাংবাদিক জুলফিকার মানিক। বুকের ভেতর শোকের পাথর একমুহূর্ত স্বস্তি দেয়নি জহির রায়হানের সন্তান অনল রায়হানকে। অবশেষে সত্যিটা আবিষ্কৃত হয়েছে। আমরা জেনে গেছি, মিরপুর মুক্ত করার ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন জহির রায়হান।
মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস জহির রায়হান রণাঙ্গনে ছুটে বেড়িয়েছিলেন বন্দুকের চেয়েও আরও শক্তিশালী একটি অস্ত্র নিয়ে। তাঁর কাঁধে ছিল সেলুলয়েড ক্যামেরা। সীমান্তের ওপারের শরণার্থী শিবিরে কোটি বাঙালির সর্বস্ব হারানোর হাহাকার, পাকিস্তানি হানাদারদের পাশবিকতায় ধর্ষিত কিশোরীর বিহ্বল মুখ কিংবা উদোম গায়ে কান্নারত শিশুর অস্থির আর্তনাদ তিনি চিত্রায়ণ করেছিলেন।
উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের সাংস্কৃতিক জাগরণে এই চলচ্চিত্র বারুদে আগুন দেওয়ার ভূমিকা পালন করেছিল। জহির রায়হান ছিলেন কবি, গল্পকার, ঔপন্যাসিক, চলচ্চিত্রকার এবং রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক কর্মী।
বাম পন্থার মতানুসারী মুক্ত হাতে তিনি বেশ কটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এর একটির নাম আরেক ফাল্গুন।
আরেক ফাল্গুন -জহির রায়হান