সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া মুফতি মুহাম্মদ শফী রচিত বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) বর্তমান সৌদি আরবে অবস্থিত মক্কা নগরীর কুরাইশ বংশের বনু হাশিম গোত্রে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ আগস্ট বা আরবি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্মান।
হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পিতা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব তার জন্মের প্রায় ছয় মাস পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন। তৎকালীন আরবের রীতি ছিল যে তারা মরুভূমির মুক্ত আবহাওয়ায় বেড়ে উঠার মাধ্যমে সন্তানদের সুস্থ দেহ এবং সুঠাম গড়ন তৈরির জন্য জন্মের পরপরই দুধ পান করানোর কাজে নিয়োজিত বেদুইন মহিলাদের কাছে দিয়ে দিতেন এবং নির্দিষ্ট সময় পর আবার ফেরত নিতেন।
ইসলামী ফিক্বহের আলোকে সুদবিহীন ব্যাংকিং:আপত্তিসমূহ ও তার পর্যালোচনা -মুফতী তাকী উসমানী
এই রীতি অনুসারে হয়রত মুহাম্মাদকে’ও হালিমা বিনতে আবু জুয়াইবের (অপর নাম হালিমা সাদিয়া) হাতে দিয়ে দেওয়া হয়। এই শিশুকে ঘরে আনার পর দেখা যায় হালিমার সচ্ছলতা ফিরে আসে এবং তারা শিশুপুত্রকে সঠিকভাবে লালনপালন করতে সমর্থ হন।
তখনকার একটি ঘটনা উল্লেখযোগ্য : শিশু মুহাম্মাদ কেবল হালিমার একটি স্তনই পান করতেন এবং অপরটি তার অপর দুধভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন।
দুই বছর লালনপালনের পর হালিমা শিশু মুহাম্মাদকে আমিনার কাছে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু এর পরপরই মক্কায় মহামারী দেখা দেয় এবং শিশু মুহাম্মাদকে হালিমার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। হালিমাও চাচ্ছিলেন শিশুটিকে ফিরে পেতে।
এতে তার আশা পূর্ণ হল। ইসলামী বিশ্বাস মতে এর কয়েকদিন পরই একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে — একদিন শিশু নবীর বুক চিরে কলিজার একটি অংশ বের করে তা জমজম কূপের পানিতে ধুয়ে আবার যথাস্থানে স্থাপন করে দেন ফেরেশতা জিবরাইল ও ফেরেশতা মিকাইল। এই ঘটনাটি ইসলামের ইতিহাসে বক্ষ বিদারণের ঘটনা হিসেবে খ্যাত।
সীরাতে খাতামুল আম্বিয়া – মুফতি মুহাম্মদ শফী