দেশে বিদেশে হচ্ছে কথা-সাহিত্যিক সৈয়দ মুজতবা আলী রচিত একটি ভ্রমণ কাহিনী।
এই বইটিকে বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ভ্রমণ কাহিনী হিসেবে গণ্য করা হয়; অন্য কোন ভ্রমণ কাহিনী আজ পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে এর মতো এতোটা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি।
পথের পাঁচালী -বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
একটি ভ্রমণ কাহিনী হওয়া সত্বেও এটি আফগানিস্তানের লিখিত ইতিহাসের একটি অনবদ্য দলিল।
লেখকের রম্য রসাত্বক বর্ণনা, বিভিন্ন পরিচিত কিংবা অপরিচিত মানুষের সাথে রসালাপ, ভ্রমণের সময় বিভিন্ন স্থানের বর্ণনা এবং শেষ পর্যায়ে এসে আফগানিস্তান ছেড়ে আসার করুন কাহিনী অসাধারনভাবে তুলে ধরা হয়েছে এই ভ্রমণ কাহিনীতে।
মূল কাহিনী
শান্তিনিকেতনে পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে মাত্র ২৩ বছর বয়সে আফগানিস্তান সরকারের অনুরোধে “কাবুল কৃষি কলেজে” ফার্সি এবং ইংরেজী ভাষার শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।
“দেশে বিদেশে” ভ্রমন কাহিনীটি শুরু হয় তার কোলকাতা থেকে পেশওয়ার হয়ে কাবুল যাওয়ার বর্ননা দিয়ে। কাবুলে তিনি বিভিন্ন আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্বের সাথে পরিচিত হন এবং অত্যন্ত সূক্ষ রসবোধের সাহায্যে তাদের সাথে কথোপোকথন ও দৈনন্দিন জীবনের কার্যকলাপ তুলে ধরেন।
কাবুলে অবস্থানের শেষ পর্যায়ে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক প্রক্ষাপটের পরিবর্তন শুরু হয় এবং বাচ্চায়ে সাকোর আক্রমণে বিপর্যস্ত কাবুল ত্যাগের করুন কাহিনীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় এই ভ্রমণ কাহিনী।