খানা তল্লাশি পিনাকী ভট্টাচার্য এর খাবারের সুলুক সন্ধান নিয়ে গবেষণা যা আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছিল।এখান থেকে পিডিএফ আকারে পড়া ও ডাউনলোড করা যাবে।
বাঙালিকে ভোজনবিলাসী বলা আর মনুষ্যজাতিকে মরণশীল বলার মধ্যে খুব একটা ফারাক আছে বলে মনে হয় না।
দ্বিতীয় খুনের কাহিনি-মশিউল আলম
শুধু বাঙালি কেন, দেশ-শ্রেণি-গোত্র-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্ত মানুষই এর আওতায় পড়বে। তবে আমরা যতটা খাদ্যরসিক, ঠিক ততটাই উদাসীন খাবারের সুলুক সন্ধান নিয়ে।
সে-দিক থেকে আলোচ্য বইটি নতুন দিশা দেখাবে— ময়দার চাপাটি প্রথম তৈরি হয়েছিল নাকি পারস্যে। ফারসি ‘চাপাট’-এর মানে থাপ্পড় বা চড়।
ময়দার লেচি নিয়ে হাতের তালুতে মেরে যেহেতু বানানো হয়, তাই এই নাম। এই রুটি ভারতের নাগরিকত্ব পেয়েছিল আওধ পৌঁছে, কারণ সেখানেই ময়দার বদলে আটা দিয়ে রুটি তৈরি শুরু হয়। রুটির উৎসের এই তথ্য নস্যাৎ করে দেয় আফ্রিকা।
কলকাতার ৩০০ বছরের ছবির অ্যালবাম
সেখানে ইউরোপের দেশগুলোর মতো আটা গেঁজিয়ে রুটি বানানোর দস্তুর ছিল না, গোল রুটি বানানোর কৌশলের মালিকানা নাকি আদতে পূর্ব আফ্রিকা থেকেই এশিয়া পৌঁছেছিল, কারণ সোয়াহিলি উপজাতির কাছে এই রুটি বহু যুগ ধরেই প্রধান খাবার। আফ্রিকার এই দাবি সবাই মেনেই নিয়েছিলেন প্রায়।
তখন আবিষ্কার হল, সিন্ধু সভ্যতার আমলেও রুটি ছিল…। এ ভাবেই ১৪১ পৃষ্ঠার বইটিতে ঝরঝরে বাংলায় লেখক বিভিন্ন খাবারের উৎস সন্ধান চালিয়ে গিয়েছেন। রচনাগুলি আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৪-১৬ পর্যন্ত।
খানা তল্লাশি -পিনাকী ভট্টাচার্য