রহস্যঘন দিনরাত্রি তরুণ লেখক আল শাহারিয়া কর্তৃক রচিত ছোটগল্প।
জানালার ছিদ্র দিয়ে ক্ষীণ আলো আমার সমান্তরালে অন্ধকার ঘরের দেওয়ালে প্রতিফলিত হচ্ছে।আমি চোখ মেলে দেখলাম আমি কোনো অন্ধকার ঘরের মেঝেতে শুয়ে আছি।
মাথার পিছন দিকটায় ব্যাথা অনুভব হলো।চমকে উঠলাম নিজের অবস্থা দেখে।অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা!আমি এই ঘরে কি উপায়ে এসেছি!
সেই সময় -সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
ভাবতে ভাবতে মনে পড়লো রাতে আমি কোনো শব্দের উৎস উদঘাটনের উদ্দেশ্য নিজের বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম।বিষয়টা পরিষ্কার হতে ঘরটার ভিতর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করতে লাগলাম।ঘরটা অন্ধকার হওয়ায় কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
চিন্তায় বিষন্ন হয়ে পড়লাম।উঠে দাড়ানোর চেষ্টায় সফল হয়ে অনুভব করলাম পকেটে মুঠোফোনের অস্তিত্ব।মুঠোফোন পকেট থেকে বের করে দেখলাম যথেষ্ট চার্য রয়েছে।
মুঠোফোনের আলো জ্বালিয়ে আশেপাশে দেখে বুঝলাম এখানে কয়েক বছরে মানুষের কোনো স্পর্শ পড়েনি।মনে হচ্ছে কোনো রাজপ্রাসাদ বা জমিদার বাড়িতে ঢুকে পড়েছি।মুঠোফোনে সময় দেখে বুঝলাম এখন সবে সকাল হয়েছে।
ওদিকে চৈতী হয়ত উতলা মনে আমার অপেক্ষায় কান্নায় চোখ ভেজাচ্ছে।এক্ষুনি এখান থেকে বের হতে হবে ভেবে পথের সন্ধান করছিলাম।মুঠোফোনের আলোয় একটা সিন্ধুক দেখতে পেলাম।ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাস্ততায় সিন্ধুকের দিকে নজর দেওয়া হলো না।
একটা বাক্সের ও দেখা পেলাম।কিন্তু কোনোদিকেই আমার দৃষ্টি সাম্যাবস্থায় নেই।অনেক চেষ্টা করেও বের হওয়ার কোনো রাস্তা পেলাম না।বিষন্ন মন নিয়ে বসে পড়লাম ময়লা-আবর্জনা এর উপর।হাতটা এমন ভাবে রইলো যে সিন্ধুক টায় গিয়ে পড়লো আলো।
কৌতুহলে উঠে সিন্ধুকের দিকে এগিয়ে গেলাম।দেখলাম সিন্ধুকের তালাটায় মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।একবার ভাবলাম খুলে দেখবো কিনা।পরে ভাবলাল কেঁচো খুড়তে যদি সাপ বের হয়ে পড়ে তবে আরেক বিপদ।কৌতুহল এতো মাত্রায় বেড়ে গেলো যে সিন্ধুকটা অনেক কষ্টে খুলেই ফেললাম।
দ্য গুড মুসলিম -তাহমিমা আনাম
কিছুটা ভয় অনুভব করলাম।যাইহোক,সিন্ধুক খুলে দেখলাম ভিতরে কিছু শাড়ি(বেনারসি ধরনের কিছু)দেখতে পেলাম।একটু নেড়ে-চেড়ে দেখলাম গয়নাও রয়েছে।এবার সিন্ধুক ছেড়ে বাক্সটার দিকে এগিয়ে গেলাম।বাক্সে কোনো তালা না পেয়ে রোমাঞ্চিত হয়ে খুলে ফেললাম বাক্সটা।
এক প্রকার বিষ্মিত হলাম আমি।অনেকগুলো তলোয়ার দেখলাম।আমার ধারনাটাই ঠিক কোনো রাজপ্রাসাদেই ঢুকে পড়েছি।মাথায় বুদ্ধি খেলল পুলিশকে খবর দেওয়ার।কিন্তু,কোনো সংযোগ পেলাম না।মুঠোফোনে দেখলাম দশটা বেজে গিয়েছে।
তার মানে এখন বেশ সকাল হয়েছে।একটা জানাল দিয়ে আলো মেঝেতে এসে পড়েছে।জানালাটা খোলার চেষ্টায় সফল হয়ে মনে হলো প্রান ফিরে পেলাম।আমি দোতলায় আছি বুঝলাম তাই জানালা দিয়ে বের হয়েও কোনো লাভ নেই।
লাউডস্পিকার -সাদত হাসান মান্টো
এতক্ষণে মিষ্টি সকালের আলো জানালা দিয়ে ঘরে প্রবেশ করছে।ঘরটা আলোয় আলোকিত হয়ে গেলো।আমি নির্জনতায় চৈতীকে চাচ্ছিলাম পাশে।কিন্তু সে পথ বন্ধ।মেয়েটি হয়তো এখনো কান্নাকাটি করছে।খুব ভালোবাসে আমাকে।
যাইহোক,এতক্ষণে খেয়াল হলো মাটিতে শুয়ে থাকায় চশমাটা চশমাটা ভেঙ্গে গিয়েছে।সাদা রঙের জামাটি ধুলোর বর্নহীনতায় বিবর্ণ হয়ে গিয়েছে।অনেক চেষ্টায় বের হওয়ার দরজা খুৃঁজে পেতেই বেরিয়ে পড়লাম বাড়িটি থেকে।
বাইরে বের হয়েই বাড়িটির দিকে ফিরে তাকিয়ে এবং আশেপাশের পরিবেশ দেখে বুঝলাম কোনো প্রভাবশালী রাজা বা জমিদারের বসতি ছিলো বাড়িটি।চৈতীকে মনে করে হোটেলের দিকে রওনা হলাম।রাস্তাটি চেনা চেনা লাগলো।
অপেক্ষা -হুমায়ূন আহমেদ
এই রাস্তা দিয়েই তো কাল রাতে গান শুনতে শুনতে বাড়িটায় এসে পড়েছি।রাতের হোটেল ছেড়ে এই পুরোনো বাড়িতে আসার কারণ ভাবতে লাগলাম।মনে পড়লো আমার অফিসের সহকর্মী রিফাত সাহেব এখানে এসেছেন।
একই হোটেলেই উঠেছি আমরা।সে শুধুমাত্র আমার সহকর্মী নয় আমার ভালো বন্ধুও বটে।ওর এসব কাল্পনিক বিষয় নিয়ে ঘাটাঘাটির শখ আছে।আমি এসব ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করি না বলে সারাক্ষণ তার সাথে ভূত-প্রেত নিয়ে হাসাহাসি করি।
আমার স্পষ্ট মনে আছে একদিন আমাকে বলেছিলো বন্ধু তোর তো ভুতে বিশ্বাস নেই,তবে তোকে একদিন বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বো।চিন্তা করলাম এটা ওর কোনো চাল নয়তো!হলেও হতে পারে।১০ মিনিট পর হোটেলে পৌঁছালাম।
সোজা আমাদের রুমে ঢুকে দেখি রুমটা অন্ধকার এবং একটি মেয়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম।আওয়াজ শুনে বুঝলাম এটা চৈতীর কান্নার আওয়াজ।আমি না থাকায় খাওয়া-দাওয়াও করেনি হয়ত।আমি চৈতী বলে ঢাক দিতেই কান্না বন্ধ হয়ে গেলো।
তারপর আলো জ্বেলে আমাকে দেখে অবাক চোখে তাকিয়ে কান্না শুরু করে দিলো আবার।দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বলল কোথায় চলে গিয়েছিলে আমাকে রেখে?
আর কখনো যাবে না!মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে কপালে একটি চুমু দিয়ে বললাম নিজের ইচ্ছাতে তো যাওয়া হয় নি আমার।তোমার খুব চিন্তা হচ্ছিলো না,লক্ষীটি?বলল,হ্যাঁ!
তারপর ওকে বললাম,চলো আমরা খাওয়া দাওয়া করে বেড়াতে বের হবো।
আমরা খাওয়া দাওয়া করে বেড়াতে বের হলাম!সবুজ প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করছিলো দু’জনের।আমি টুকটাক লেখালেখি করি আর চৈতী কবিতা আবৃত্তি করে।
লাউডস্পিকার -সাদত হাসান মান্টো
এজন্যই আমাদের জুটিটা বেশ জমেছে।প্রেম করেই বিয়ে ঠিক বলা যায় না বিয়ে করেই আমরা প্রেম করছি।গাড়িটা দাড় করিয়ে আমাদের প্রথম পরিচয়ে লেখা কবিতাটি আবৃত্তি করতে বললাম চৈতীকে।আবৃত্তি শুনতে শুনতে রাতের চিন্তা মাথার মাঝে এসে গেলো।
দারোয়ানকে ঘুষ দিয়েই বের হয়েছিলাম ১১ টার দিকে।তারপর থেকেই ক্রমাগত গানের অবস্থান পরিবর্তন হচ্ছিলো।কোনো দিকে নজর না দিয়ে মুঠোফোনের আলোটা জ্বালিয়ে সোজা দোতলায় গিয়ে দাড়াতেই ঘুমিয়ে পড়লাম।
হঠাৎ,কেনো ঘুম এতো অধিপত্যে দেখালো?বলে উঠলাম,’এ নিশ্চই রিফাতের কারসাজি!’চৈতী অবাক নয়নে চেয়ে রইলো আমার দিকে।জড়িয়ে ধরে বলল কি হয়েছে তোমার?রিফাত ভাই কি করলো আবার?
আমি বললাম,না কিছু না।চলো হোটেলে ফিরি।আবৃত্তিটা ভালো হয়েছে।বলেই গাড়ি চালিয়ে হোটেলের দিকে ফিরলাম।পথে রিফাতের সঙ্গে দেখা হলো।গাড়ি থামিয়ে বললাম,”রিফাত,গাড়িতে ওঠ!কথা আছে তোর সাথে।”
রিফাত হাসিমুখে গাড়িতে উঠলো।হোটেলে চৈতীকে রেখে রিফাত আর আমি বের হয়ে একটি কফি শপে গিয়ে বসলাম।রিফাত একমুখ হাসি নিয়ে বলল,কি যেন বলতে চেয়েছিলেন জনাব।
আমি বললাম,আমি বিষন্ন হয়ে গিয়েছি।কাল রাতে আমি কোনো এক অজানা সুরের মোহে অচেনা জায়গায় চলে গিয়েছিলাম।তুই কিছু জানিস নাকি?ও তো আকাশ থেকে পড়লো!তারপর রিফাত আমাকে বিষয়টা নিশ্চিত করলো।
রিভার গড -উইলবার স্মিথ
হেসে বলল,ভূত দেখেছিস নাকি?কথায় রহস্য পেলাম।বললাম,রিফাত পরিষ্কার করে বল!ও বলল,তোমরা সবসময় আমাকে নিয়ে মজা করতে।এখন তো দেখলে ভূত সত্যিই আছে।আর তোমার রাতে উধাও হওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছুই বলেনি।
আমি তো কিছুই জানি না।কথাটি বলেই কি এক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে বলে চলে গেলো।আমি মেনে নিতে পারলাম না যে রিফাত সত্য বলেছে।রুমে ফিরে চৈতীকে বললাম চা খেতে ইচ্ছা করছে।হোটেলে বললে চায়ের পরিবর্তে কফি দিয়ে গেলো।
বেলকনিতে গিয়ে হাতে হাত রেখে দাঁড়িয়ে আমরা গল্প করছি এমন সময় রিফাতকে দেখলাম নিচে কিছু লোকের সাথে কথা বলছে।আমাকে দেখেই তাদের বিদায় জানিয়ে দিলো।আমরাও কফি শেষ হওয়ায় রুমে চলে গেলাম।
রাতে খাওয়া শেষে প্রতিদিনের অভ্যাসমতো চৈতীর কপালে একটি চুম দিয়ে ঘুমাতে বললাম।ও ঘুমিয়ে গেলো।কিন্তু আমার ঘুম আসলো না।ঘুম না আসাই স্বাভাবিক।বেলকনিতে গিয়ে পায়চারি করতে করতে ভাবছিলাম কি করবো আমি!
রহস্য আমাকে উদঘাটন করতেই হবে।এই যুগের ছেলে হয়ে ভূতে বিশ্বাস নিতান্তই বোকামি।হঠাৎ দেখি চৈতীও বেলকনিতে এসে দাড়ালো।আমাকে বলল,কি হয়েছে তোমার?শরীর খারাপ লাগছে?আমি বললাম,না কিছুই হয় নি।চলো ঘুমাতে যাই।
বাই দ্য রিভার পিদরা আই সেট ডাউন এন্ড উইপ্ট -পাওলো কোয়েলহো
আমার হাত ধরে ঘরে নিয়ে বিছানায় ঘুমাতে বলল।আমি শুয়ে পড়লাম।কখন ঘুমিয়ে পড়লাম নিজেই জানি না।সকালে নরম ঠোঁটের ছোয়ায় ঘুম ভেঙে গেলো।আমাকে টেনে তুলে জোর করে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে বলল,চোখেমুখে পানি দাও নাস্তা করতে হবে।
নাস্তা সেরে চৈতীকে বললাম,রিফাতের সাথে একটু বের হচ্ছি।দ্রুত ফিরে আসবো।চৈতীকে বিদায় জানিয়ে আমি হোটেল থেকে বের হয়েই আবারো গেলাম সেই বাড়িটায়।বাড়িটার আশেপাশে দেখলাম সেই লোকগুলোর দুইজনকে যাদের দেখেছিলাম হোটেলের নিচে রিফাতের সাথে।
আমাকে দেখেই চমকে উঠে দ্রুত সেখান থেকে চলে গেলো।বুঝলাম এই বাড়িটায় বা বাড়িটার আশেপাশে আমার এ বাড়িতে আসার কারণ লুকিয়ে আছে।যাইহোক,বাড়িটার ভিতর ঢুকলাম।যথেষ্ট অন্ধকার,সূর্যের আলো আসে না বললেই চলে।
টর্চের সাহায্য নিয়ে ভিতরে ঢুকে দেখলাম জিনিসপত্র এলোমেলো।একটা রুমে দেখলাম আলোর ব্যাবস্থা করা হয়েছিলো কিন্তু বর্তমানে আর আলোর ব্যাবস্থাটি ভালো নেই।স্পষ্টভাবে বুঝলাম কাল বেড়ার ছিদ্র দিয়ে এই আলোরই কিছু অংশ ঘরের ভিতর প্রবেশ করছিলো।
তার মানে এখানে কাল রাতে কেউ এসেছিলো এবং সে ই আমার মাথায় আঘাত করেছিলো।টর্চ দিয়ে আরো কিছু খোঁজার সময় একটি পরিচিত সিগারেটের প্যাকেট এবং সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ পেলাম।সযত্নে রেখে দিলাম আমার কাছে।
নীল পাহাড় -ওবায়েদ হক
সিগারেটের প্যাকেটের মাধ্যমে বুঝলাম এখানে কে এসেছিলো!বিকাল চারটায় ফিরলাম হোটেলে।দেখলাম হোটেলের ম্যানেজার,চৈতী,রিফাত সহ আরো কিছু লোক বসে আছে।
চৈতী কাঁদছে,ম্যানেজার সাহেব আগে থেকেই আমার প্রতি বিরক্ত!আগে একদিন নিখোঁজ, আজ আবার!যাইহোক,সবাই সোফায় বসা তাই আমিও গিয়ে সোফাতে বসলাম।রিফাতকে বললাম,তোমার জিনিস পেয়েছো?
রিফাত থতমত খেয়ে বলল,কি জিনিস?মানে কি পাবো?আমি হেসে বললাম আমার মাথায় এই মৃদু আঘাত না করলেও পারতে কারণ আগে থেকেই ঘুমের ঔষধ কোল্ড ড্রিংকস এর সাথে আমাকে খেতে দিয়েছিলে।এখন আমার কাছে সব স্পষ্ট!পুরনো জিনিসপত্রের শখ আছে তোমার জানতাম।কিন্তু এতটা প্রবল আকর্ষণ তা জানা ছিলো না।
তুমি এক ঢিলে তিন পাখি মারতে চেয়েছিলে।ওই তলোয়ার গুলো,আমাকে ভূতে বিশ্বাস করানো এবং তোমাকে নিয়ে ভূতের জন্য মজা করার শাস্তি!সব কাজ একসাথে করতে চেয়েছিলে আমাকে সামনে রেখে।
করেও ফেলোছো আংশিক!সব বুঝতে পেরে রিফাত দৌড় দিতে যাবে এমন সময় হোটেলের বাইরে দাঁড়ানো পুলিশ অফিসার তাকে ধরে ফেলল।সব স্বীকার করতে বলার পর বলা শুরু করলো তার অপকর্মগুলো।রিফাত বলল,অফিসের সবাই আমি ভূতে বিশ্বাস করি এবং ভূতের গল্প করি তাই নিয়ে হাসাহাসি করে।
প্রেমাতাল -মৌরি মরিয়ম
অফিসের সবচেয়ে সত্যবাদী কর্মকর্তাকে যাদি বিশ্বাস করানো যায় তবে কেউ আর আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করবে না।এটাই আমার প্রথমে পরিকল্পনা ছিলো।
কিন্তু,এখানে এসে আমার কিছু অপকর্মের সাথীদের সাথে যোগাযোগের ফলে জানতে পারলাম এখানে একটি ভুতুড়ে বাড়ি আছে।সেখানে রাজার আদিবাস ছিলো।ভাবলাম পুরোনো অনেক কিছু পেতে পারি ওখান থেকে।
আমার পুরোনো জিনিস সংগ্রহের শখ লোভে পরিনত হলো।তারপর আমি পরিকল্পনা মাফিক রাতে ওকে কোল্ড ড্রিংকসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দিয়েছিলাম গোপনে এবং তারপর ড্রোনে করে মুঠোফোনে ভুতুড়ে কন্ঠে গান বাজিয়ে ওকে নিয়ে গিয়েছিলাম বাড়িটাতে।নিজের ভয় লাগার কারণে আলোর ব্যবস্থা করে রেখেছিলাম।
আমার এক সঙ্গীকে দিয়ে মাথায় মৃদু আঘাত করলাম।তারপর ও(আমি) যখন আমাকে বলল রাতের কথা তখন আমি ভয়ে পেয়ে গিয়েছিলাম।আমার সাথীদের বললাম বাড়ি থেকে আমাদের সব প্রমাণ সরিয়ে ফেলতে।ওরা প্রায় সফল হবে সেই সময় ও(আমি) চলে গেলো বাড়িটিতে।তারপর…….
রিফাতকে জাতীয় সম্পদ দখলের অপরাধে পুলিশ ধরে নিয়ে গেলো।চৈতী আর আমি পরদিন সকালেই আমাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলাম।
[সমাপ্ত]
আশা করি তরুণ লেখক আল শাহারিয়া কর্তৃক রচিত ছোটগল্প রহস্যঘন দিনরাত্রি সবার ভাল লেগেছে।
লেখকের ফেসবুক আইডি আল শাহারিয়া