সমুদ্র বিলাস(Samudra Bilas) হুমায়ূন আহমেদ(Humayun Ahmed) রচিত উপন্যাস।
রিমি তাকিয়ে আছে। হ্যাঁ লোকটাকে খুশি খুশি মনে হচ্ছে। বেশ খুশী।
তৌহিদ বলল, ডাক্তার আমাকে কক্সবাজার যেতে বলল?
লাল নীল দীপাবলি বা বাঙলা সাহিত্যের জীবনী -হুমায়ুন আজাদ
রিমি আশ্বর্য হয়ে বলল, কই সে কথা ত বলনি।
আরে দূর দূর বললেই যাওয়া যায় নাকি?
কোন কারণ আছে বলেই নিশ্চয়ই বলেছে।
কোন কারন নেই কথার কথা এমনি বলেছে।
বিছানায় ঘুমোতে যাবার ঠিক আগ মুহূর্তে তৌহিদ বলল, একবার অবশ্যই কক্সবাজার গেলে মন্দ হয় না। সমুদ্র কখনো দেখা হয়নি। তুমি দেখেছো রিমি?
না।
বাংলাদেশ : রক্তাক্ত অধ্যায় (১৯৭৫-৮১) – এম সাখাওয়াত হোসেন
তোমার দেখতে ইচ্ছে করেনা?
না।
আমার খুব করে। কেন করে সে কারনটি একদিন তোমাকে বলবো।
আজই বল।
আজ থাক। ঘুম পাচ্ছে। আরেকদিন বলব।”
কিছু কথা বলবো বলবো বলেও কোনদিন বলা হয়ে উঠেনা। আজীবন মনের গভীরে পুষে রাখা থাকে সে কথাগুলো। মাঝে মাঝে বুকে চিনচিন ব্যাথা হয়। বেরিয়ে আসতে চায় সে কথাগুলো। তবুও বলা হয়না।
জোছনা ও জননীর গল্প -হুমায়ূন আহমেদ
“আকাশ সমুদ্রে মাখামাখি হয়ে আছে। কোথায় সমুদ্রের শেষ, কোথায় আকাশের শুরু– বোঝাই যায় না। মনে হয় আকাশসমুদ্রে মেশা।”
সমুদ্রসৈকত এক অদ্ভুত জায়গা। কেও হয়তো আনন্দে সমুদ্রের পানিতে ঝাপাঝাপি করছে আর কেও বালির উপরে বসে স্মৃতিচারণে চোখের পানি ঝরাচ্ছে। ধুয়ে নিচ্ছে দুঃখগুলো।
ভালোলাগা প্রিয় বইগুলোর একটি। চারবার পড়ার পরও এখনো ইচ্ছে করে আবার পড়ি। হয়তো এই ইচ্ছে থেকেই যাবে, কোনদিন শেষ হবেনা। শেষ না হওক। ভালোবাসা থেকে যাক অনন্তকাল।
আশা করি, সমুদ্র বিলাস উপন্যাসটি উপভোগ্য হবে।