সাগর বিজয়ে ও আমেরিকা আবিষ্কারে মুসলমান বাসার মঈনউদ্দীন রচিত গ্রন্থ।
সাগর বিজয়ে ও আমেরিকা আবিষ্কারে মুসলমান
আমেরিকার আবিস্কারক হিসেবে কলম্বাসের নাম সাধারণত ইতিহাসে দেখা যায়। কিন্তু খোদ আমেরিকার কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত আমাদের বিশ্বাসের ভিত্তিমূলকে নাড়া দিয়েছে।
আমেরিকার মিনেসটা ডাকোটা এবং উইসকিনসন বিশ্ববিদ্যালয় আধুনিক গবেষণায় জানতে পেরেছেন যে, কলম্বাস আমেরিকার প্রকৃত আবিস্কারক নন। এমনকি ঐসব বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, শিক্ষাদানকালে তারা যেন আমেরিকার আবিস্কারক হিসেবে কলম্বাসের নাম উল্লেখ না করেন।
কৃষ্ণকান্তের উইল -বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
কলম্বাস এমন এক সময়ে আমেরিকার মাটিতে পা দিয়েছিলেন যে সময়টিতে ইউরোপ ছিল অন্ধকারে আচ্ছন্ন। পৃথিবী সম্পর্কে খৃষ্টধর্ম মানুষকে ধারণা দিত যে, পৃথিবী সমতল। অবশ্য কলম্বাসের ধারণা ছিল পৃথিবী গোলাকার।
পৃথিবীর মধ্যবর্তী স্থলে উজ্জয়িনী যদি অবস্থিত থাকে তাহলে তিনি উজ্জয়িনী থেকে সোজাসুজি পূর্ব বা পশ্চিমে যাত্রা করলে নিশ্চয়ই আবার উজ্জয়িনীতে ফিরে আসতে পারবেন। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে, কলম্বাস এরুপ বিজ্ঞানসম্মত ধারণা কিভাবে পেয়েছিলেন?
ইতিহাস সাক্ষী, জ্ঞান-বিজ্ঞান সাধনায় মুসলমানরা অনেক অগ্রসর হয়েছিল। ইউরোপীয় রেঁনেসার অগ্রদূত হিসেবে ফ্রান্সিস বেকনের নাম উল্লেখ করা হয়। আর ফ্রান্সিস বেকন মুসলমানদের জ্ঞান-বিজ্ঞান দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।
ঠিক তেমনিভাবে মধ্যযুগে মধ্যপ্রাচ্য ও স্পেনের জ্ঞানের আলো থেকে খৃষ্টানরা ও ইউরোপীয়রা তাদের ঘোর আঁধার দূর করেছিল।
সে যুগের বহু পন্ডিত মুসলমানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহের প্রত্যক্ষ ছাত্র ছিলেন। সঙ্গত কারণেই এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, খৃষ্ট সমাজে বাস করেও কলম্বাস খৃষ্টান মতবাদের পরিবর্তে মুসলমানদের মতবাদে বিশ্বাসী ছিলেন।