সূর্য তুমি সাথী উপন্যাসটি লেখা সেই মানুষগুলোর গল্প নিয়ে যাদের ভিতরটা জ্বলছে আগুনের মত।
যন্ত্রণা যাদের ভেতরটা পুড়িয়ে দিয়ে নিঃশ্বাসের সাথে বের করে দেয় আগুনের স্ফুলিঙ্গ। বইটা পড়বার সময় মনে হচ্ছিল আমার নিঃশ্বাসও মনে হয় আগুনের মত গরম।
জানি না নিজের পারিপার্শ্বিকতার ফলাফল ছিল সেটা নাকি লেখকের বর্ণনার কৃতিত্ব। জানি না, জানতে ইচ্ছা হচ্ছে না। তবে এটুকু না বললেই নয়।
এই বইটি সাথে কিছুদিন আগে পড়া ইস্পাতের সাথে বেশ খানিকটা সাদৃশ্য বিদ্যমান। আসলে প্লট একই, কিন্তু একটির দৃশ্যপটে রয়েছে ইউক্রেন আর আরেকটিতে বাংলাদেশ, একটিতে পাভেলের সমস্ত জীবন, অন্যটিতে হাসিমের জীবনের কয়েকটি মাস, পাভেল নায়কোচিত, হাসিম খানিকটা ভিতু… কিন্তু দুটোতেই আছে শ্রেণী বৈষম্যের হাতে নিপীড়িত মানুষের দুঃখ গাঁথা, এক হবার বাসনা।
তবে বিস্তারে অনেক পার্থক্য রয়েছে, ইস্পাতের পরিসর ছিল ব্যাপক, পটভূমিতে ছিল ঐতিহাসিক উত্থান, এতে তা নেই। কিন্ত এই বইটি পেয়েছে আহমেদ সফার বর্ণনার ঋদ্ধতা, যা ইস্পাতে ছিল না। যাই হোক, তুলনা কেন করছি!!
তুলনা বাদ থাকুক। আগুন জ্বলা বইটির শেষ পর্যায়ে হাসন রাজার গান একটি গানের খানিকটা উদ্ধৃত করেছেন আহমেদ সফা, সেটিই না হয় মনে মনে গাইতে গাইতে ঘুমিয়ে পড়ি…
“মাটির পিঞ্জরের মাঝে বন্দি হৈয়া রেকান্দে হাসন রাজার মন মনিয়ারে।পিঞ্জরের ভিতরে ময়না ছটফট ছটফট করেমজবুত পিঞ্জর ময়না ভাঙ্গিতে না পারে।”