দ্য ট্যাংক ব্যাটল অব শিরোমণি বা শিরোমণি ট্যাঙ্ক যুদ্ধ খুলনার শিরোমণিতে হওয়া একটি যুদ্ধ।
১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ জেনারেল নিয়াজী তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে জনসম্মুখে রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেন এবং ঠিক ওই সময় ব্রিগেডিয়ার হায়াত খানের নেতৃত্বে ৪ সহস্রাধিক সৈন্যের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনারা “শিরোমণি ট্যাঙ্ক যুদ্ধ” নামের বৃহৎ প্রতিরোধের যুদ্ধে মুখোমুখি হয়।
এ যুদ্ধের কৌশল ভারত, পোল্যান্ডসহ ৩৫টি দেশের সেনাবাহিনীর প্রতিরক্ষা কলেজে পড়ানো হয়, বিশ্বের সেরা কিছু ট্যাংক যুদ্ধের মধ্যে শিরোমণি ট্যাঙ্ক যুদ্ধ একটি এবং একই সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ যুদ্ধক্ষেত্র এই শিরোমণি।
১৭ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর বেলা দেড়টায় সার্কিট হাউস মাঠে লিখিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মিত্র বাহিনীর মেজর জেনারেল দলবীর সিং, ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর আবুল মঞ্জুর ও ৯ নম্বর সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল, পাকিস্তানি সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার হায়াত খানের বেল্ট ও ব্যাজ খুলে নিয়ে আত্মসমর্পণের প্রমাণাদিতে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।
বর্তমানে এ যুদ্ধের কাহিনী সিলেবাস আকারে আন্তর্জাতিক মিলিটারী একাডেমীতে পড়ানো হয়। ৭ জন কর্নেলসহ হায়াত খান আত্মসমর্পণ করে।
দুপুরে আনুমানিক ৩৭০০ জন পাক সেনা আত্মসমর্পণ করে। আনুষ্ঠানিকভাবে ১৭ ডিসেম্বর খুলনা মুক্ত দিবস হলেও ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত খালিশপুর, শিপইয়ার্ড ও লবণচরা থেকে বিক্ষিপ্তভাবে পলাতক পাকসেনা আটক হয়।
দ্য ট্যাংক ব্যাটল অব শিরোমণি -গাজী সাইফুল হাসান
আরও পড়ুন